উপজেলা শিক্ষা অফিস, পলাশ, নরসিংদী সাম্প্রতিক বছরসমূহের (৩ বছর) প্রধান অর্জনসমূহঃ
প্রাথমিক শিক্ষার গুরুত্ব উপলব্ধি করে বর্তমান সরকার সমতাভিত্তিক ও মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষক: শিক্ষার্থী এবং শিক্ষার্থী:শ্রেণিকক্ষের অনুপাত হ্রাসকরণের লক্ষ্যে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় নতুন প্রাক প্রাথমিক শিক্ষকের পদসৃষ্টিসহ ৪৭ জন শিক্ষকের নিয়োগ প্রদান করা হয়েছে। বিদ্যালয় পর্যায়ে শিক্ষার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে ০৫ নলকূপ স্থাপনসহ ৩৩ টি ওয়াশব্লক নির্মাণ করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শতভাগ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২০২০ সালে বিনামূল্যের বই বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া, ঝরেপড়া রোধসহ প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবারের শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় ১০০% শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া ৬৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য স্থানীয় উদ্যোগে মিড-ডে মিল চালু করা হয়েছে। বিদ্যালয় ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা বিকেন্দ্রীকরণের ৬৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘স্কুল লেভেল ইমপ্রুভমেন্ট প্ল্যান (SLIP) বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় প্রতি বাৎসরিক ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ প্রদান করা হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিবছর নিয়মিতভাবে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রতিবছর ৬৪ টি বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্ণামেন্ট পরিচালিত হয়ে আসছে। সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ: উপজেলা শিক্ষা অফিস, পলাশ, নরসিংদী এর প্রাথমিক শিক্ষার প্রধান প্রধান সমস্যা ও চ্যালেঞ্জসমূহ হচ্ছে শিক্ষক/কর্মকর্তার শূন্য পদ পূরণ এবং নতুন ভবন/শ্রেণিকক্ষ নির্মাণ ও সংস্কারের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং শ্রেণিকক্ষ-শিক্ষার্থীর কাঙ্খিত অনুপাত অর্জন নিশ্চিত করা। শিক্ষক কর্তৃক শ্রেণিকক্ষে গতানুগতিক পাঠদানের প্রবণতা পরিহার করে পদ্ধতি মাফিক পাঠদানে অভ্যস্ত করা। হত দরিদ্র পরিবারের শিশুদেরকে বিদ্যালয়ের পরিবর্তে শ্রমঘন কর্মস্থানে প্রেরণ নিরুৎসাহিত করা। ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্ভাব্য প্রধান অর্জনসমূহ: ·নির্ধারিত সময়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যের বই বিতরণ;·৩য় ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা পঠন দক্ষতা অর্জন;·৩য় ও ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বাংলা পঠন দক্ষতা অর্জন;·দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও স্কুল ফিডিং এর আওতায় আনয়ন;·বিদ্যালয় পর্যায়ে উন্নয়ন পরিকল্পনা (শ্লিপ) বাস্তবায়ন;·বিদ্যালয় পর্যায়ে খেলাধূলাসহ সহপাঠক্রমিক কার্যক্রম জোরদার করা;·ই-মনিটরিং-এর আওতায় পরিদর্শন কার্যক্রম ফলপ্রসূ ও জোরদার করা;·প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাথে স্থানীয় কমিউনিটিকে সম্পৃক্ত করা।·সকল শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা·মোবাইল ফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে সার্বক্ষনিক যোগাযোগ রক্ষা করা·জুম অ্যাপের মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখা। |
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস